সর্বশেষ

6/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলায় মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের কোনো স্থান নেই: আইজিপি

নিউজ ডেস্ক: পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা এবং প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশে মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের কোনো স্থান নেই। পুলিশকে প্রযুক্তিনির্ভর, গণমুখী, সেবামুখী, জনবান্ধব বাহিনী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে হবে। আমরা পুলিশের সেবাদানের মূল কেন্দ্র থানাকে জনগণের আস্থা ও ভরসার স্থানে পরিণত করতে চাই। 


বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে পুলিশ সপ্তাহের দ্বিতীয় দিন রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সের প্যারেড গ্র্যাউন্ডে আইজি’জ ব্যাজ ও বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বিজয়ী ইউনিটদের পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।


তিনি বলেন, দেশের সম্মানিত নাগরিকগণ যাতে সহজে, নির্ভয়ে থানায় আসতে পারেন, তাদের সমস্যার কথা বলতে পারেন এবং প্রার্থিত সেবা গ্রহণ করতে পারেন, সে ব্যাপারে আমি সুস্পষ্ট নির্দেশনা দিয়েছি। যারা একেবারে সাধারণ মানুষ, খেটে খাওয়া মানুষ, নিরীহ, নির্যাতিত, গরিব, নারী; তাদের জন্য থানাকে আমি বিচার পাওয়ার স্থান হিসেবে দেখতে চাই। এজন্য প্রধান ও প্রথম কাজ হবে ভালো ব্যবহার ও জনগণের কথা শোনা এবং অতি দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা। এক্ষেত্রে যেকোনো ব্যত্যয় গ্রহণযোগ্য হবে না। 


স্মার্ট বাংলাদেশের উপযুক্ত পুলিশ গড়ে তুলতে কাজ করার কথা জানিয়ে আইজিপি আরো বলেন, পুলিশকে জনবান্ধব বাহিনী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে আমরা কাজ করছি। থানাকে প্রতিটি মানুষের আস্থা ও ভরসার কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। যাতে সবাই নির্ভয়ে থানায় আসতে পারেন সেই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে এবং প্রতিনিয়ত মনিটরিং করা হচ্ছে। বেশিরভাগ থানাতেই সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে, যা রেঞ্জ ডিআইজি অফিস থেকে মনিটরিং করা হচ্ছে। পুলিশের প্রত্যেকটি সদস্য সেবা দিতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। যেকোনো পরিস্থিতিতে নিজের জীবন দিয়ে পুলিশ সদস্যরা সেটি প্রমাণ করেছে।


পুলিশপ্রধান বলেন, সমাজের সব শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছে কাঙ্ক্ষিত সেবা পৌঁছে দিতে হবে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা দেশকে সত্যিকার অর্থেই ২০৪১ সালে অসাম্প্রদায়িক, প্রগতিশীল, অন্তর্ভুক্তিমূলক, উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে পারব। 


এসময় পুলিশ সদস্যদের মাদক সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে পুলিশের আইজিপি বলেন, আমাদের কোনো সদস্য যদি মাদকের সঙ্গে জড়িত থাকে তাহলে সাধারণ মানুষের চেয়েও বেশি ব্যবস্থা নেওয়া হয়। সাধারণ মানুষের সঙ্গে মাদকের সংশ্লিষ্টতা থাকলে শুধু মামলা দেওয়া হয়। আর পুলিশ সদস্যদের শুধু মাদক খাওয়ার প্রমাণ থাকলেই চাকরি থাকবে না। চাকরিও যাবে মামলাও হবে। 


নিয়োগের সময় আমরা প্রতিটি সদস্যকে ডোপ টেস্টের মাধ্যমে নিয়োগ দিয়ে থাকি উল্লেখ করে আইজিপি বলেন, যারা মাদকাসক্ত তাদেরকে সতর্ক করে দিচ্ছি, মাদকাসক্ত হলে কেউ চাকরি পাবে না।


এই প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, মাদক ও দুর্নীতি সমাজের নীরব ঘাতক। মাদকবিরোধী অভিযানে বাংলাদেশ পুলিশ জয়ী হবে। জঙ্গী-সন্ত্রাস যেভাবে নিয়ন্ত্রণে এনেছে, যেভাবে মাদক নিয়ন্ত্রণেও সফল হতে হবে। সবাইকে এ বিষয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি। জঙ্গি-মাদক ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের শূন্য সহিষ্ণুতা নীতি রয়েছে। যেকোনো ঘটনা ঘটলে দ্রুততম সময়ে আমরা অপরাধীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসছি।

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলায় মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের কোনো স্থান নেই: আইজিপি

অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন) ও প্যারেড উপ-কমিটির সভাপতি মো. কামরুল আহসান অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। এসময় ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। 


উল্লেখ্য, বাংলাদেশ পুলিশে কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য এবার ৪৮৮ জন পুলিশ সদস্যকে ‘পুলিশ ফোর্স এক্সেমপ্লারি গুড সার্ভিস ব্যাজ-২০২৩ (আইজি ব্যাজ)’ দেওয়া হয়। আইজিপি তাদের ব্যাজ পরিয়ে দেন।


২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার অভিযানে 'ক' গ্রুপে প্রথম চট্টগ্রাম জেলা, দ্বিতীয় কুমিল্লা জেলা এবং তৃতীয় হয়েছে পাবনা জেলা। ‘খ’ গ্রুপে প্রথম কক্সবাজার জেলা, দ্বিতীয় নরসিংদী জেলা এবং তৃতীয় নোয়াখালী জেলা। ‘গ’ গ্রুপে এপিবিএন প্রথম, রাজবাড়ী জেলা দ্বিতীয় এবং মাগুরা জেলা তৃতীয় হয়েছে। ‘ঘ’ গ্রুপে র‍্যাব-১৫, কক্সবাজার প্রথম; র‍্যাব-৫, রাজশাহী দ্বিতীয়; র‍্যাব-৭ চট্টগ্রাম তৃতীয় হয়েছে। ‘ঙ’ গ্রুপে ডিবি, ডিএমপি প্রথম; সিটিটিসি দ্বিতীয় এবং ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগ তৃতীয় হয়েছে। 


মাদকদ্রব্য উদ্ধার অভিযানে ‘ক’ গ্রুপে কুমিল্লা জেলা পুলিশ প্রথম, চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ দ্বিতীয় এবং সিএমপি তৃতীয় হয়েছে। ‘খ’ গ্রুপে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশ প্রথম, নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ দ্বিতীয় এবং কক্সবাজার জেলা পুলিশ তৃতীয় হয়েছে। ‘গ’ গ্রুপে লালমনিরহাট জেলা পুলিশ প্রথম, জয়পুরহাট জেলা পুলিশ দ্বিতীয় এবং চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ তৃতীয় হয়েছে। ‘ঘ’ গ্রুপে র‍্যাব-১৫, কক্সবাজার প্রথম; র‍্যাব-১১ নারায়ণগঞ্জ দ্বিতীয় এবং র‍্যাব-৭ চট্টগ্রাম তৃতীয় হয়েছে। ‘ঙ’ গ্রুপে ডিবি, ডিএমপি প্রথম; মিরপুর বিভাগ, ডিএমপি দ্বিতীয় এবং ওয়ারী বিভাগ, ডিএমপি তৃতীয় হয়েছে। ‘চ’ বিভাগে এপিবিএন প্রথম, রেলওয়ে পুলিশ দ্বিতীয় এবং হাইওয়ে পুলিশ তৃতীয় হয়েছে। 


অপরাধ নিয়ন্ত্রণে সার্বিক কার্যক্রম মূল্যায়নে ‘ক’ গ্রুপে কুমিল্লা জেলা পুলিশ প্রথম, চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ দ্বিতীয়, সিলেট জেলা পুলিশ তৃতীয় হয়েছে। ‘খ’ গ্রুপে নোয়াখালী জেলা পুলিশ প্রথম, লক্ষ্মীপুর জেলা পুলিশ দ্বিতীয় এবং জামালপুর জেলা পুলিশ তৃতীয় হয়েছে। ‘গ’ গ্রুপে লালমনিরহাট জেলা পুলিশ প্রথম, শেরপুর জেলা পুলিশ দ্বিতীয় এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা পুলিশ তৃতীয় হয়েছে। ‘ঘ’ গ্রুপে ডিএমপি, লালবাগ বিভাগ প্রথম; ডিএমপি, মতিঝিল বিভাগ দ্বিতীয় ও ডিএমপি, ওয়ারী বিভাগ তৃতীয় হয়েছে। ‘ঙ’ গ্রুপে র‍্যাব-১৫, কক্সবাজার প্রথম; র‍্যাব-৫, রাজশাহী দ্বিতীয় এবং র‍্যাব-১১ নারায়ণগঞ্জ তৃতীয় হয়েছে। 


শিল্ড প্যারেড প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করেছে এপিবিএন। দ্বিতীয় হয়েছে যৌথ মেট্রো দল এবং তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ।  


বার্ষিক পুলিশ প্যারেড কুচকাওয়াজে প্রথম স্থান অর্জন করেছে এপিবিএন, দ্বিতীয় হয়েছে যৌথ মেট্রো দল এবং তৃতীয় ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ। 

Main Ad

এএইচএম/নিউজ ডেস্ক/তিতাস টাইমস২৪

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

© TitasTimes24 All Rights Reserved

class='remove-footer'>